গানের নাম : সুর্দশন রোবট
ব্যান্ড দল : মনোসরণি
অ্যালবাম : মনোসরণি
প্রকাশকাল:২০১৪
গীতিকার : প্রবর রিপন
দৈর্ঘ্য : ৬মিনিট ৩৭ সেকেন্ড
ঘরানা : রক/সাইকেডেলিক রক
সদস্য:-
ভোকাল :-প্রবর রিপন
বেস:-তাসবীহ প্রসূন
গিটার:-মুয়ীয মাহফুজ
ড্রামস:- বাঁধন
এই ব্যান্ডের আগের দুটো রিভিউ দিয়েছিলাম এবং অনেক চেষ্টা করেও এটা থেকে দূরে থাকতে পারিনি। এই গানটার রিভিউ না দিয়ে থাকতে পারিনি। গানটা আমি যতবার শুনি,মনে হয় এটা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা দরকার। খুব ছোট ছোট লাইন কিন্তু দারুন শক্তপোক্ত অর্থবহন করে। গীতিকার একজন কবিও বটে, হয়তো তাই এত সুন্দর লিরিক্স লিখতে পারেন।
"আমার মগজ আনা হয়েছে
বাকিংহাম প্যালেস হল, ব্রিটেনের সব থেকে দামী এবং বিলাশ বহুল একটা প্রাসাদ যেখানে তার মগজ রাখা হয়েছিল। সেখান থেকেই তার মগজ নিয়ে আসা হয়। এই মগজের উদাহারণ দেওয়া হয় এই জন্য যে, একজন মানুষের মস্তিষ্ক ঐ সব মূল্যবান স্মৃতি ধারণ করে।
পেন্টাগন কেও টানতে ভুলেননি তিনি। পেন্টাগন হল এমন এক নিরাপদ স্থল, যেখানে আমেরিকার সব ধরনের শক্তিধর মানুষের বাসস্থান। এখানে কোনো ধরনের হামলা তো দূরের কথা, কল্পনাও করা যায় না।
জাপানে যখন আমেরিকার বোমা বর্ষণ হয়,তখন তারা বুঝতে পারে তারা হারবে। কিন্তু তাদের এই হারে বা লক্ষাধিক মানুষ মরার পরও এই হারকে তারা মেনে নিতে পারেনি। হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল আত্মহত্যা করে। তারা বিশ্বাস করে, মাথা উঁচু রাখতে হবে, যতই হেরে যাই না কেন। এখানে এমনই এক মেরুদন্ডবান মানুষ হিসাবে নিজেকে কল্পনা করেন গীতিকার।
এই সব কিছু এই জন্য বলেন, যেন তার প্রিয়তমা অন্তত বুঝতে পারেন তার বাহ্যিক বিষয়টা বড় নয়,তার ভেতরকার যে জীবনটা সেটাই বড়।যদি এত কিছুও তাকে সুর্দশন করতে না পারে তখন সে প্রশ্ন রাখে,
"তাহলে আমি কি রোবট"?
"আমার সৎ বাবা রক্তবেচা টাকা দিয়ে
ভ্যাটিকান সিটি হল এমন এক শহর যা রহস্যময় হয়ে আছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। এই শহর বহন করে যাচ্ছে হাজার হাজার গোপনীয় বার্তা এবং রহস্য। যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। এখানে গীতিকার রহস্যাবৃত রেখেছেন নিজেকে। তার মনে হয়, বাবার সৎ উপার্জন দিয়ে তিনি পাপ মুক্ত চোখ এবং এমন সব পবিত্রতা দর্শন করে রেখেছেন যা কল্পনারও অতীত।
জ্ঞানের শহর এথেন্স, এই শহর সম্পর্কে আমরা প্রচুর জানি। এখানে জন্ম হয়েছে অনেক দার্শনিকদের। যারা নিজেদের দৃষ্টির গভীরতায় আজ পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন।
কনফুসিয়াস হল চীনের একজন দার্শনিকের নাম।
"আমার কবরের জমি একেবারে খাঁটি বাংলাদেশি
এখানে গীতিকার, মাটির টান কে বোঝাতে চেয়েছেন। যেখানে আমাদের লাখও শহীদ ঘুমিয়ে আছে, সেই সব শহীদের স্মরণে লেখা এই কবরের জমির কথা।
আমেরিকার সরকার যতই পাগল আর খারাপ হোক,আমেরিকার সিটিজেনরা কখনো নিজেদের আর্দশ থেকে সরে আসে না। আমি বর্তমান কিছু ঘটনা দেখে আসলেই বলতে বাধ্য হয়েছিলাম " আমেরিকা যতই অসভ্য নগরী হোক তবে তার নাগরীকরা হল পৃথিবীর জন্য আশির্বাদ"।
"আমার দাঁতের হাসি যেন বৃষ্টি শেষে ধুয়ে যাওয়া অক্টোবরের রাশিয়া
অক্টোবরের রাশিয়া মানে লেনিনের নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব টাই অক্টোবর বিপ্লব নামে পরিচিত আর গীতিকার সেটাকে টেনে নিয়ে এসেছেন এই গানে। কিউবার বিপ্লব কে বোঝাতে এর পরের লাইনকে ব্যবহার করেন।
তিব্বতিয়ানদের জীবন ব্যবস্থাকে গীতিকার গ্রহণ করেছেন। যারা কখনো মাংস খায় না। তাই প্রানী হত্যার প্রশ্নই আসে না।
আফ্রিকানদের কষ্টকে বোঝাতে লাষ্ট লাইনটি ব্যবহার করেছেন।
"আমার আত্ম-অহংকার কিনেছি জার্মান এক দর্শন বিক্রেতার কাছ থেকে
এখানে একটা বৃহৎ জিনিস বোঝাতে চেয়েছেন গীতিকার, তা হল নিজস্ব গর্ব।নিজের আলোয় সব সময় উজ্জ্বল থাকেন গীতিকার। যারা নিজেদের চিহ্নটাকেই গ্রহণ করেছেন নিজেদের পরিচয় হিসেবে।
"আমার মগজ আনা হয়েছে
বাকিংহাম প্যালেস-এর কোন refrigerator থেকে
আর তা রাখার শক্ত খুলি দিয়েছে পেন্টাগন
এই দারুণ মেরুদণ্ড is made by জাপান
বুকের হাড়গুলো এক্কেবারে খাঁটি ইন্ডিয়ান"
বাকিংহাম প্যালেস হল, ব্রিটেনের সব থেকে দামী এবং বিলাশ বহুল একটা প্রাসাদ যেখানে তার মগজ রাখা হয়েছিল। সেখান থেকেই তার মগজ নিয়ে আসা হয়। এই মগজের উদাহারণ দেওয়া হয় এই জন্য যে, একজন মানুষের মস্তিষ্ক ঐ সব মূল্যবান স্মৃতি ধারণ করে।
পেন্টাগন কেও টানতে ভুলেননি তিনি। পেন্টাগন হল এমন এক নিরাপদ স্থল, যেখানে আমেরিকার সব ধরনের শক্তিধর মানুষের বাসস্থান। এখানে কোনো ধরনের হামলা তো দূরের কথা, কল্পনাও করা যায় না।
জাপানে যখন আমেরিকার বোমা বর্ষণ হয়,তখন তারা বুঝতে পারে তারা হারবে। কিন্তু তাদের এই হারে বা লক্ষাধিক মানুষ মরার পরও এই হারকে তারা মেনে নিতে পারেনি। হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছিল আত্মহত্যা করে। তারা বিশ্বাস করে, মাথা উঁচু রাখতে হবে, যতই হেরে যাই না কেন। এখানে এমনই এক মেরুদন্ডবান মানুষ হিসাবে নিজেকে কল্পনা করেন গীতিকার।
এই সব কিছু এই জন্য বলেন, যেন তার প্রিয়তমা অন্তত বুঝতে পারেন তার বাহ্যিক বিষয়টা বড় নয়,তার ভেতরকার যে জীবনটা সেটাই বড়।যদি এত কিছুও তাকে সুর্দশন করতে না পারে তখন সে প্রশ্ন রাখে,
"তাহলে আমি কি রোবট"?
"আমার সৎ বাবা রক্তবেচা টাকা দিয়ে
এই একজ়োড়া চোখ বানিয়ে এনেছে ভ্যাটিকান সিটি থেকে
আর তার দৃষ্টির গভীরতা দিয়েছে এথেন্স
আমার জ্ঞানের সীমানা চীনের প্রাচীরে সমাহিত কনফুসিয়াস"
ভ্যাটিকান সিটি হল এমন এক শহর যা রহস্যময় হয়ে আছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। এই শহর বহন করে যাচ্ছে হাজার হাজার গোপনীয় বার্তা এবং রহস্য। যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। এখানে গীতিকার রহস্যাবৃত রেখেছেন নিজেকে। তার মনে হয়, বাবার সৎ উপার্জন দিয়ে তিনি পাপ মুক্ত চোখ এবং এমন সব পবিত্রতা দর্শন করে রেখেছেন যা কল্পনারও অতীত।
জ্ঞানের শহর এথেন্স, এই শহর সম্পর্কে আমরা প্রচুর জানি। এখানে জন্ম হয়েছে অনেক দার্শনিকদের। যারা নিজেদের দৃষ্টির গভীরতায় আজ পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন।
কনফুসিয়াস হল চীনের একজন দার্শনিকের নাম।
"আমার কবরের জমি একেবারে খাঁটি বাংলাদেশি
আমার আত্মা একেবারে পাক্কা আমেরিকান citizen
আমার রক্তের ছন্দে ঢেউ ভাঙে মিশরের নীল নদে
আমার কপালে ফুটে আছে পবিত্র আরবের বিষধর ক্যাকটাস"
এখানে গীতিকার, মাটির টান কে বোঝাতে চেয়েছেন। যেখানে আমাদের লাখও শহীদ ঘুমিয়ে আছে, সেই সব শহীদের স্মরণে লেখা এই কবরের জমির কথা।
আমেরিকার সরকার যতই পাগল আর খারাপ হোক,আমেরিকার সিটিজেনরা কখনো নিজেদের আর্দশ থেকে সরে আসে না। আমি বর্তমান কিছু ঘটনা দেখে আসলেই বলতে বাধ্য হয়েছিলাম " আমেরিকা যতই অসভ্য নগরী হোক তবে তার নাগরীকরা হল পৃথিবীর জন্য আশির্বাদ"।
"আমার দাঁতের হাসি যেন বৃষ্টি শেষে ধুয়ে যাওয়া অক্টোবরের রাশিয়া
আমার পায়ের জুতো চেনে কিউবার সব অলিগলি
আমার মাংসের ঘ্রাণ পুরোই নিরামিষাশী তিব্বতিয়ান
আমার কান্নার রঙে বৃষ্টি নামে কালো আফ্রিকায়"
অক্টোবরের রাশিয়া মানে লেনিনের নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব টাই অক্টোবর বিপ্লব নামে পরিচিত আর গীতিকার সেটাকে টেনে নিয়ে এসেছেন এই গানে। কিউবার বিপ্লব কে বোঝাতে এর পরের লাইনকে ব্যবহার করেন।
তিব্বতিয়ানদের জীবন ব্যবস্থাকে গীতিকার গ্রহণ করেছেন। যারা কখনো মাংস খায় না। তাই প্রানী হত্যার প্রশ্নই আসে না।
আফ্রিকানদের কষ্টকে বোঝাতে লাষ্ট লাইনটি ব্যবহার করেছেন।
"আমার আত্ম-অহংকার কিনেছি জার্মান এক দর্শন বিক্রেতার কাছ থেকে
আমার গায়ের ভাঁজ যেন সূর্যকরোজ্জ্বল ফ্রেঞ্চ রিভেয়ারা
আমার গ্রীবার গরিমা সুইস ব্যাংকের gate-এর পাশে ভাসমান হাঁসের পাখা
আমার আমিত্ব যুদ্ধবিদ্ধস্ত এই পৃথিবীর উন্নাসিকতা"
এখানে একটা বৃহৎ জিনিস বোঝাতে চেয়েছেন গীতিকার, তা হল নিজস্ব গর্ব।নিজের আলোয় সব সময় উজ্জ্বল থাকেন গীতিকার। যারা নিজেদের চিহ্নটাকেই গ্রহণ করেছেন নিজেদের পরিচয় হিসেবে।সব শেষে গীতিকার আবারও প্রেমিকার কাছে আবেদন করেছিলেন। আমি আসলেই কি?
"ও প্রিয়তমা, বিশ্বাস করো
সম্পূর্ণ কম্পোজিশন টাই দারুন। লিরিক্সটাই এমন দারুন হলে ভাবুন, বাকি কাজ গুলো কেমন হবার কথা? আমি ব্যক্তিগতভাবে এদের দারুন ভক্ত। বলতে পারেন আমি নিজেও একজন কবি সেই হিসেবে এই গানের লিরিক্সটা আমাকেও ভাবতে বাধ্য করে। আসলেই প্রবর ভাই কি মাপের একজন ভাবুক এবং কবি।
সব মিলিয়ে দারুন একটা কাজ এই অ্যালবামের গানটি।
"ও প্রিয়তমা, বিশ্বাস করো
আমি এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন যুবক
নাকি robot
নাকি যুবক
নাকি robot
নাকি যুবক"
সম্পূর্ণ কম্পোজিশন টাই দারুন। লিরিক্সটাই এমন দারুন হলে ভাবুন, বাকি কাজ গুলো কেমন হবার কথা? আমি ব্যক্তিগতভাবে এদের দারুন ভক্ত। বলতে পারেন আমি নিজেও একজন কবি সেই হিসেবে এই গানের লিরিক্সটা আমাকেও ভাবতে বাধ্য করে। আসলেই প্রবর ভাই কি মাপের একজন ভাবুক এবং কবি।
সব মিলিয়ে দারুন একটা কাজ এই অ্যালবামের গানটি।
0 Comments