প্রিয় লিলু,
আমার হতাশার রঙের নামের নারী, আমার একক একাকীত্বের সঙ্গিনী। তোমাকে দেখিনা আজ বহু বছর হতে চললো। কোথায় যেন শুনেছিলাম নারীর রূপ আত্মার রঙের থেকেও উজ্জ্বল হয়! আমি তোমার মখমলের মতো ত্বক আর সঙ্গমের স্মৃতি ভুলে গেছি। মনে আছে শুধু, তোমার সেই সব অনাকাঙ্ক্ষিত অবহেলাদের মাঝে, আমাকে রঙিন করে তোলা স্মৃতিদের।
আমি এখন আগাগোড়া পাগল কিসিমের মানুষ। হাত পেতে খাই। কোথাও মেলে আবার মেলেও না। তুমি মনে করো না আবার, আমি পেট ভরতে ভিক্ষা করি। আমি, আমি আসলে নারীর মাংসের পাগল হয়ে উঠেছি। আমি ছুটে যাই তাদের কাছে, মুখ গুজে পড়ে থাকি তাদের মাংসের গন্ধে, কোথাও তোমার মাংসের অথবা পারফিউমের গন্ধ ভেসে বেড়ায় না। আমি, আমি আসলে ভালোবাসি।আমি ভালোবাসা বলতে এক এবং একমাত্র নারীকেই বুঝি। তোমাকে পাবো না, সে কি করে ভাবতে পারি আমি?
আমার বাবা অথবা মাকে হারানোর পর, আমি তোমাকে পেয়েছিলাম। তোমাকে হারানোর পর, আমি জানতে চেয়েছিলাম মানুষ বেঁচে থাকে কি জন্য? আমি জানি এখন, আমি জানি মানুষ বেঁচে থাকে লোভে, ভালো দিন ফিরবে! ঈশ্বর আদতে একজন আমার মতোই পাগল কিসিমের স্রষ্ঠা। তাই আমি বিশ্বাস করি, হুট করে একদিন তুমি আমার সামনে দাঁড়িয়ে যাবে এবং জানতে চাইবে, ঘুমের ঘোরে আজও তোমাকে নিয়ে চিৎকার করি কিনা!
প্রিয় লিলু,
আমার, আমার এক আকাশ সমান আমিটা বেঁচে আছে তোমার ভেতর? সেই সব পুরোনো স্মৃতি, তোমার ঠোঁট বেয়ে হাতের আঙ্গুল! পৌরাণিক দেবতারা যদি ধ্বংস হয়ে না যেত অথবা আমি নিজেই যদি তোমার দেবতা বলে দাঁড়িয়ে যেতাম! কি হত পৃথিবীর?
আজ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ঢাকায় ফিরছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়ে গুলো, তোমার থেকেও এক ধাপ এগিয়ে গেছে। তাদের নেশা যেন, পৃথিবীর আদিম কোনো সভ্যতার রক্তের নেশা থেকে কম নয়।জানো, আমার মাঝে মাঝে মনে হয় গাঁজা অথবা নেশা জাতীয় দ্রব্য গুলো শত গুণে ভালো। সে একজন মানুষকে তিলে তিলে বটবৃক্ষর মত মেরে ফেলে, আর প্রেম! আহা প্রেম, আহা নারী! এরা দুজনই মারে অথবা তারও অধিক! আমি তাই বলে শাহবাগ অথবা জাহাঙ্গীর নগরের সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়াবো না যে,
"নেশাকে বৈধ করা হোক, আর প্রেমকে নিষিদ্ধ"।
0 Comments