কবিতা : মুক্তি

মুক্তি

ঘুমন্ত শহুরে জীবন,
ঘুমন্ত আমার অবচেতন অসভ্যতা,
কুকুর দেখলে জেগে উঠে মেরুদণ্ডহীন মানবতা!

চিৎকার করেও প্রতিধ্বনি পাইনি।
প্রেমিকার মহৎ কর্ম,
আমায় প্রাণ ফিরিয়ে দেয়নি।
অথবা;
প্যারালাল জীবন ব্যবস্থা।

রঙিন পর্দায় ভাসমান চোখ জোড়া,
অস্বাভাবিক মৃত্য,
অথবা;
নিরাপদ মৃত্য কামনা।
মায়ের গর্ভেই জন্ম না নেওয়া আমি,
আন্দোলন করতে করতে গাড়ির চাকায় পৃষ্ট হয়েছিলাম।
অথবা,
প্রেমিকার ওড়নায় মাংসের গন্ধ আজও ছড়ায়নি।

একটা দেয়ালে পাখি উড়ছে।
স্লোগান লেখা আছে,
"পাখিদের মুক্তি দাও"।
শালা মাদারচোদ,
দেয়ালে পাখিকে বন্দী করে মুক্তি দেওয়ার স্লোগান কে শেখালো তোকে?

মায়ের গন্ধে যৌনতা নেই।
পার্বত্য এলাকার মানুষ আমাকে চেনেনি,
আমি ছিলাম শুকনের দলে,
তারপর আসলাম এই সভ্যতার শেষ ঠিকানায়।

আমাকে শোনানো হল,
প্রেমিকার স্তনের ভুল কামড়ে চিৎকার।
তারপর,
তারপর তারা সংবিধান করে বললো,
"প্রেমিকার অর্থ একদলা মাংস
এবং
চিৎকারে চিৎকারে তুমি উল্লাসিত হায়েনার সর্দার"।

আমাকে দেখানো হল,
"নিরাপদ মৃত্যুর স্বাক্ষী হতে"।
শালা আমি তো নিজেই কত বার অনিরাপদে মরতে মরতে ফিরে এসেছি,
এই জননীর বুকে।
তোদের জন্য কি লিখবো?

একজন নেতা বললেন,
"জনগণের জন্য সরকার"।
অন্য জন গলা ফাটিয়ে জানালেন,
"মানুষ মাত্রই মরণশীল,
তাহলে বাপু তোমাদের আবার কিসের নিরাপত্তা"?

আমি আর একটু সামনে যেতেই দেখতে পারলাম,
সেখানে লেখা,
" পাগলদের জন্য কবিতা এবং খাতা নিষিদ্ধ"।
আবার একটা গালি আসতে গিয়েও,
আটকে গেল কণ্ঠনালীতে।



-রেজাউল করিম (নরকীট) 

Post a Comment

0 Comments