মুক্তগদ্য: বিশ্বাস

বিশ্বাস




এই যে সুদীর্ঘ জীবনে, বুকের খুব গভীরে কিছু কথা থাকে। যা নিয়ে আমরা ঘুমাতে যাই আবার সকাল হলে জেগে উঠি।
কিন্তু জানেন?এরা কখনো ঘুমায় না। আমরা শুধু ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিচ্ছি এই জীবনটা ।
এই যে জীবনে এত মানুষের আনাগোনা, এদেরও বলা যায় না। কি পরিমান ব্যাথা নিয়ে,আমরা ঘুমাতে যাই।
এই যে ভালোবাসার লক্ষী মেয়েটিকে ঘুম পারিয়ে আমরাও ঘুমাই।
সেও কিন্তু জানতে পারে না,খুব কাছে বুকের মাংসের সাথে মাথা রেখে ঘুমানো পুরুষটাও জানতে পারে না,নারীর খুব গভীরে একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস বার বার কেঁদে যাচ্ছে।
আমাদের ঐ মানুষ গুলো নেই,যারা অথবা যে আমাদের কষ্ট গুলোকে অথবা গোপন কথাটা তরঙ্গের মতো বহন করে নিয়ে চলে যাবে বহু দূরে।যেখান থেকে এরা ফিরতে পারবে না। 
এই যে গোলাপ গুলো,পথিকের হাতে
তার প্রাপক কি জানে? কতটা ঘামের গন্ধে কেনা তার সুগন্ধি গোলাপের পাপড়ি জোড়া? 
অথবা ঠিক রাস্তায় ভিক্ষা করা মায়ের সন্তানটির জন্য।যে লাশের কাপড় কিনে নিয়ে যাচ্ছে, তার এই দীর্ঘজীবন কি তাকে কখনো বলেছিল? তুমিও একদিন তিন বেলার খাবারের টাকা দিয়ে ছেলের কাফন কিনবে?
বলেনি,কেউ কাউকে বলেনি! আমাদের ইচ্ছে,স্বপ্ন অথবা মৃত্যু,আমাদের বুকের ভেতর জেগে উঠা কথার উচ্ছাস, বুক বেয়ে মুখে আসে না। কেউ জানতেই পারে না,আমাদের বিরক্তির কথোপকথন। যা সুন্দর সময়ের স্বাক্ষরিত শব্দ। কিন্তু অতীতের মিষ্টি সময় আজ আমার জন্য বিষ হয়ে গলা দিয়ে নেমে যাচ্ছে। প্রিয়তমা প্রিয়ন্তী জানতেই পারেনি।
তবুও আমরা ঘুমাতে যাই,এই বিশ্বাসে যে কাল ভোরে সব ঠিক হয়ে যাবে।


-নরকীট

Post a Comment

2 Comments