চলচ্চিত্র পর্যালোচনা
চলচ্চিত্র নাম: Mulan (2020)
পরিচালক: নিকি ক্যারো
প্রকাশকাল: ২০২০
জনরা: একশন,ড্রামা,এডভেঞ্চর
দেশ: ইউ.এস.এ
ভাষা: ইংরেজি
দৈর্ঘ্য: ১১৫ মিনিট
মুলান এই মুভিটির গল্প মূলত চাইনিজ ফোক স্টরি "ব্যালেড অফ মুলান" থেকে নেওয়া। এর আগে ডিজনি থেকেও অ্যানিমেটেড মুলান মুভি তৈরী করা হয়েছিল।
ইম্পেরিয়াল চায়নার একটা গ্রামে, একজন সৈনিক এর মেয়ে হুয়া মুলান। ছোটোবেলা থেকেই সে "chi" অর্থাৎ বিশেষ ক্ষমতার অধিকারিনী। সহজাত ভাবেই সে যুদ্ধবিদ্যা ও অস্ত্রবিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী। সে চায় জীবনে কোনো কাজ করতে। তার ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে। কিন্তু তার মা বাবা তার এই ক্ষমতাকে লুকাতে চায় সবসময়, কারণ তাদের রীতি অনুযায়ী একজন মেয়ের এমন কার্যকলাপ পরিবারের প্রতি অসম্মানের। একমাত্র বিবাহ করেই কোনো মেয়ে তার পরিবারের জন্যে সর্বোচ্চ সম্মান অর্জন করতে পারে। তাই মুলানের মা-বাবা তাকে বিয়ে দিতে উদ্যত হলেও, সেই বিয়ে ভেঙ্গে যায়।
এদিকে ইম্পেরিয়াল চায়নার উত্তরে হামলা করে রোউরান বাহিনী( Rouran warriors), যার নেতৃত্ব দেয় বোরি খান। নিজের পিতার হত্যার প্রতিশোধ ও ক্ষমতা দখলের জন্যে অপ্রতিরোধ্য বাহিনী নিয়ে, হামলা করে বোরি খান। এদের সঙ্গে যুক্ত হয় মুলানের মতোই "chi" অর্থাৎ বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী, একটি নারী, সিয়ানিয়াং। তার ক্ষমতার প্রদর্শন এই সমাজ মেনে নেয়নি। তাকে ডায়নি আখ্যা দিয়ে, তার পরিবার ও সমাজ থেকে তাকে বিচ্যুত করে নির্বাসিত করা হয়। ক্ষোভে, বলা ভালো এই সমাজের ওপর এর প্রতিশোধ নিতে সেও যুক্ত হয়ে পড়ে বোরি খানের সঙ্গে। তার উদ্দেশ্য নিজস্ব রাজ্য স্থাপন করা, যেখানে কেউ তাকে তার ক্ষমতার জন্যে হেয় করবে না ও তার মূল্যায়ণ করবে।
ইম্পেরিয়াল চায়না তার যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে প্রত্যেক গ্রামে গিয়ে, এক একটি পরিবার থেকে; একজন সৈন্য চায়। এইভাবে যখন রাজসৈন্যরা মুলানের গ্রামে আসে, তখন তার বাবা তার এক পা নষ্ট হওয়ার সত্ত্বেও, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে এগিয়ে আসে; যেহেতু তাদের পরিবারে কোনো ছেলে সন্তান নেই। কিন্তু মুলান তা মেনে নিতে পারেনি যখন সে তার মা'র মুখ থেকে শোনে, এই যুদ্ধে গেলে তার বাবা নিশ্চিত ফিরে আসতে পারবে না।
এরপর শুরু হয় মুলানের নিজস্ব যাত্রা। সে রাতের অন্ধকারে, তার বাবার তরোয়াল ও যুদ্ধ সামগ্রী নিয়ে বেরিয়ে পড়ে, সৈনিকদের ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে। যেহেতু নারীদের এমন কাজ তাদের রীতিতে অপরাধ, তাই পুরুষ সেজেই সে শুরু করে তার ট্রেনিং।
এর কিছুদিন পর শুরু হয় বোরি খানের সঙ্গে ইম্পেরিয়াল চায়নার যুদ্ধ। যুদ্ধের এক পর্যায়ে গিয়ে মুলানের সঙ্গে দেখা হয় সিয়ানিয়াং এর। মুলান পেরে ওঠে না তার সঙ্গে। সিয়ানিয়াং মুলান কে জানায়, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সে কখনোই তার ক্ষমতার ব্যবহার করতে পারবে না। তার জন্যে তাকে তার নিজস্ব রূপে ফিরে আসতে হবে।
একদিকে সমাজ এর বাঁধা, রীতি নীতি অন্যদিকে সে জানে, তার রূপ সকলের সামনে আসলে তাকেও নির্বাসিত করা হবে, মিথ্যা বলার দায়ে। পরিবারের সম্মানও তার জন্যেই ক্ষয় হবে। কিন্তু তার ক্ষমতার ব্যবহার না করলেও তো ইম্পেরিয়াল চায়নাকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। কি করবে মূলান? কোন উপায়ে রক্ষা করবে সে তার দেশকে? কি বেছে নিবে সে?
এছাড়াও পুরুষ ছদ্মবেশে তার ট্রেনিং চলাকালীন পরিস্থিতি,এবং আরও একটি টুইস্ট রয়েছে। এই সবটাই জানতে ও দেখতে হলে দেখতে হবে মুভি টি।
মুলানের অস্ত্রচালনা, অভিনয় এছাড়া প্রত্যেকের অভিনয়ই ভালো ছিল। সিনেম্যাটোগ্রাফিও বেশ ভালোই ছিল। এককথায় সম্পূর্ণ মুভিটাই আপনি অনেক মজা নিয়ে দেখতে পারবেন। কোথাও একঘেয়েমি লাগবে না। অবসর সময় ভালো কাটাতে চাইলে, দেখে নিতে পারেন মুভিটি। ধন্যবাদ।
দেশ: ইউ.এস.এ
ভাষা: ইংরেজি
দৈর্ঘ্য: ১১৫ মিনিট
মুলান এই মুভিটির গল্প মূলত চাইনিজ ফোক স্টরি "ব্যালেড অফ মুলান" থেকে নেওয়া। এর আগে ডিজনি থেকেও অ্যানিমেটেড মুলান মুভি তৈরী করা হয়েছিল।
প্লট:
ইম্পেরিয়াল চায়নার একটা গ্রামে, একজন সৈনিক এর মেয়ে হুয়া মুলান। ছোটোবেলা থেকেই সে "chi" অর্থাৎ বিশেষ ক্ষমতার অধিকারিনী। সহজাত ভাবেই সে যুদ্ধবিদ্যা ও অস্ত্রবিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী। সে চায় জীবনে কোনো কাজ করতে। তার ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে। কিন্তু তার মা বাবা তার এই ক্ষমতাকে লুকাতে চায় সবসময়, কারণ তাদের রীতি অনুযায়ী একজন মেয়ের এমন কার্যকলাপ পরিবারের প্রতি অসম্মানের। একমাত্র বিবাহ করেই কোনো মেয়ে তার পরিবারের জন্যে সর্বোচ্চ সম্মান অর্জন করতে পারে। তাই মুলানের মা-বাবা তাকে বিয়ে দিতে উদ্যত হলেও, সেই বিয়ে ভেঙ্গে যায়।
এদিকে ইম্পেরিয়াল চায়নার উত্তরে হামলা করে রোউরান বাহিনী( Rouran warriors), যার নেতৃত্ব দেয় বোরি খান। নিজের পিতার হত্যার প্রতিশোধ ও ক্ষমতা দখলের জন্যে অপ্রতিরোধ্য বাহিনী নিয়ে, হামলা করে বোরি খান। এদের সঙ্গে যুক্ত হয় মুলানের মতোই "chi" অর্থাৎ বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী, একটি নারী, সিয়ানিয়াং। তার ক্ষমতার প্রদর্শন এই সমাজ মেনে নেয়নি। তাকে ডায়নি আখ্যা দিয়ে, তার পরিবার ও সমাজ থেকে তাকে বিচ্যুত করে নির্বাসিত করা হয়। ক্ষোভে, বলা ভালো এই সমাজের ওপর এর প্রতিশোধ নিতে সেও যুক্ত হয়ে পড়ে বোরি খানের সঙ্গে। তার উদ্দেশ্য নিজস্ব রাজ্য স্থাপন করা, যেখানে কেউ তাকে তার ক্ষমতার জন্যে হেয় করবে না ও তার মূল্যায়ণ করবে।
ইম্পেরিয়াল চায়না তার যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে প্রত্যেক গ্রামে গিয়ে, এক একটি পরিবার থেকে; একজন সৈন্য চায়। এইভাবে যখন রাজসৈন্যরা মুলানের গ্রামে আসে, তখন তার বাবা তার এক পা নষ্ট হওয়ার সত্ত্বেও, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে এগিয়ে আসে; যেহেতু তাদের পরিবারে কোনো ছেলে সন্তান নেই। কিন্তু মুলান তা মেনে নিতে পারেনি যখন সে তার মা'র মুখ থেকে শোনে, এই যুদ্ধে গেলে তার বাবা নিশ্চিত ফিরে আসতে পারবে না।
এরপর শুরু হয় মুলানের নিজস্ব যাত্রা। সে রাতের অন্ধকারে, তার বাবার তরোয়াল ও যুদ্ধ সামগ্রী নিয়ে বেরিয়ে পড়ে, সৈনিকদের ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে। যেহেতু নারীদের এমন কাজ তাদের রীতিতে অপরাধ, তাই পুরুষ সেজেই সে শুরু করে তার ট্রেনিং।
এর কিছুদিন পর শুরু হয় বোরি খানের সঙ্গে ইম্পেরিয়াল চায়নার যুদ্ধ। যুদ্ধের এক পর্যায়ে গিয়ে মুলানের সঙ্গে দেখা হয় সিয়ানিয়াং এর। মুলান পেরে ওঠে না তার সঙ্গে। সিয়ানিয়াং মুলান কে জানায়, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সে কখনোই তার ক্ষমতার ব্যবহার করতে পারবে না। তার জন্যে তাকে তার নিজস্ব রূপে ফিরে আসতে হবে।
একদিকে সমাজ এর বাঁধা, রীতি নীতি অন্যদিকে সে জানে, তার রূপ সকলের সামনে আসলে তাকেও নির্বাসিত করা হবে, মিথ্যা বলার দায়ে। পরিবারের সম্মানও তার জন্যেই ক্ষয় হবে। কিন্তু তার ক্ষমতার ব্যবহার না করলেও তো ইম্পেরিয়াল চায়নাকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। কি করবে মূলান? কোন উপায়ে রক্ষা করবে সে তার দেশকে? কি বেছে নিবে সে?
এছাড়াও পুরুষ ছদ্মবেশে তার ট্রেনিং চলাকালীন পরিস্থিতি,এবং আরও একটি টুইস্ট রয়েছে। এই সবটাই জানতে ও দেখতে হলে দেখতে হবে মুভি টি।
মুলানের অস্ত্রচালনা, অভিনয় এছাড়া প্রত্যেকের অভিনয়ই ভালো ছিল। সিনেম্যাটোগ্রাফিও বেশ ভালোই ছিল। এককথায় সম্পূর্ণ মুভিটাই আপনি অনেক মজা নিয়ে দেখতে পারবেন। কোথাও একঘেয়েমি লাগবে না। অবসর সময় ভালো কাটাতে চাইলে, দেখে নিতে পারেন মুভিটি। ধন্যবাদ।
মুভি রেটিং:
Imdb:5.6/10
-শ্রী
-শ্রী
0 Comments