বই পর্যালোচনা
বইয়ের নাম: অন্যভূবন
লেখক:হুমায়ুন আহমেদ
ঘরানা: সাই/ফাই/হরর
পৃষ্ঠা:৬৪
মূল্য:১২৫৳
প্রকাশনী:অনন্যা
দুপুর তিনটা বাজে, মিসির আলী সাহেব ঘুমাচ্ছেন। তখনই তার কাজের বাচ্চাটা এসে,ঘুম থেকে ডেকে তোলে। জানান একজন লোক আসছে,তাকে বসার ঘরে বসিয়ে রেখে আসছে।
তারপর মিসির আলী পরিচয় জানতে গিয়ে,জানতে পারেন লোকটি এসেছে ময়মনসিংহ থেকে তার মেয়ের অসুস্থতা নিয়ে।
সব জেনে অতিদ্রুত মিসির আলী সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, যে তিনি ময়মনসিংহ যাবেন ঐলোকের সাথে তার মেয়েকে দেখতে।
ঐ দিকে তিন্নি নামের মেয়েটি অন্ধকার ঘরে বসে বসে ছবি আঁকছে। অন্ধকারে কেউ কিছু না দেখলেও ৯ বছরের তিন্নি ঠিকই সব স্পষ্ট দেখতে পায়। তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তাদের কাজের ছেলে টি। বাড়ির সবাই তিন্নিকে ভয় পায়। যখনই রেগে যায়,সবাইকে সে কষ্ট দেয়। সারা দিন রোদ্রে বসে থাকে। তার কাছে মনে হয় গাছেরাই সব থেকে জ্ঞানী।
তিন্নি যখন কাজের ছেলেটিকে বিদায় করে,তখন সে বলে,
"বাবার সাথে একজন লোকও আসবে,ওনাদের জন্য সকালের ভেতর সব প্রস্তুত রাখবে "
ভয়ে ভয়ে কাজের ছেলেটি ঘর থেকে বের হয়ে যায়।
তারপর দিন মিসির আলীর আগমন ঘটে। তিন্নিকে দেখে মনে হল,তার সামনে স্বাক্ষাত দেবী এসে পড়েছে। খুব পবিত্র একটা মুখ বাচ্চাটির এবং সে মিসির আলীর আসা সম্পর্কে আগে থেকেই জানে।
তখন মিসির আলী বলে
: তুমি নাকি পৃথিবীর সব জানো?দেখি আমার প্রশ্নের উওর দাও তো কিছু।
-৯ এর বর্গমূল কত?
৫এর বর্গমূল কি?
দেখা গেল,যেটা মিসির আলী জানেন এর উওরই শুধু তিন্নি দিতে পারে। মানে তিন্নি মাইন্ড পড়তে পারে?
তারপর ধীরের ধীরে গল্প এগিয়ে যেতে থাকে সামনে ।
হুমায়ুন আহমেদ পড়তে অন্তত কারণ লাগে না,সময় কাটানো বা রিডিং ব্লক থেকে বাঁচতে এমনিই পড়া যায়। এক বসায় দুটা তিনটা মিসির আলী,হিমু বা শুভ্র শেষ করা যায়। তাছাড়া মিসির আলী তো মোটামুটি সাই/ফাই জনরার। যথেষ্ট পরিমান আনন্দদায়ক হয়ে থাকে গল্প গুলো ।
বইটাতে আসলেই দারুন দেখিয়েছেন। লেখকের চিন্তা শক্তি অনেক ভালো দেখিয়েছেন এখানে। সাথে পাঠককেও একটা ধাঁধার ভেতর রাখেন। সামনে কি হবে বা হচ্ছে? গল্পটা ডার্ক ভাবে শেষ করাটাই যেমন বিরক্তি ছিল,অবশ্য সমাপ্তিটাই বইটাকে বিষন্ন করে তুলেছে।মজার ব্যাপার হল,মিসির আলীকে মনে হয় এই বইয়েই বিবাহিত দেখানো হয়।
আমার কাছে ভালোই লেগেছে এবং গাছের যুক্তি গুলোও মনে ধরেছে।
ধন্যবাদ।
লেখক:হুমায়ুন আহমেদ
ঘরানা: সাই/ফাই/হরর
পৃষ্ঠা:৬৪
মূল্য:১২৫৳
প্রকাশনী:অনন্যা
বিষয়বস্তু:
দুপুর তিনটা বাজে, মিসির আলী সাহেব ঘুমাচ্ছেন। তখনই তার কাজের বাচ্চাটা এসে,ঘুম থেকে ডেকে তোলে। জানান একজন লোক আসছে,তাকে বসার ঘরে বসিয়ে রেখে আসছে।
তারপর মিসির আলী পরিচয় জানতে গিয়ে,জানতে পারেন লোকটি এসেছে ময়মনসিংহ থেকে তার মেয়ের অসুস্থতা নিয়ে।
সব জেনে অতিদ্রুত মিসির আলী সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, যে তিনি ময়মনসিংহ যাবেন ঐলোকের সাথে তার মেয়েকে দেখতে।
ঐ দিকে তিন্নি নামের মেয়েটি অন্ধকার ঘরে বসে বসে ছবি আঁকছে। অন্ধকারে কেউ কিছু না দেখলেও ৯ বছরের তিন্নি ঠিকই সব স্পষ্ট দেখতে পায়। তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তাদের কাজের ছেলে টি। বাড়ির সবাই তিন্নিকে ভয় পায়। যখনই রেগে যায়,সবাইকে সে কষ্ট দেয়। সারা দিন রোদ্রে বসে থাকে। তার কাছে মনে হয় গাছেরাই সব থেকে জ্ঞানী।
তিন্নি যখন কাজের ছেলেটিকে বিদায় করে,তখন সে বলে,
"বাবার সাথে একজন লোকও আসবে,ওনাদের জন্য সকালের ভেতর সব প্রস্তুত রাখবে "
ভয়ে ভয়ে কাজের ছেলেটি ঘর থেকে বের হয়ে যায়।
তারপর দিন মিসির আলীর আগমন ঘটে। তিন্নিকে দেখে মনে হল,তার সামনে স্বাক্ষাত দেবী এসে পড়েছে। খুব পবিত্র একটা মুখ বাচ্চাটির এবং সে মিসির আলীর আসা সম্পর্কে আগে থেকেই জানে।
তখন মিসির আলী বলে
: তুমি নাকি পৃথিবীর সব জানো?দেখি আমার প্রশ্নের উওর দাও তো কিছু।
-৯ এর বর্গমূল কত?
৫এর বর্গমূল কি?
দেখা গেল,যেটা মিসির আলী জানেন এর উওরই শুধু তিন্নি দিতে পারে। মানে তিন্নি মাইন্ড পড়তে পারে?
তারপর ধীরের ধীরে গল্প এগিয়ে যেতে থাকে সামনে ।
আপনি পড়বেন কেন?
হুমায়ুন আহমেদ পড়তে অন্তত কারণ লাগে না,সময় কাটানো বা রিডিং ব্লক থেকে বাঁচতে এমনিই পড়া যায়। এক বসায় দুটা তিনটা মিসির আলী,হিমু বা শুভ্র শেষ করা যায়। তাছাড়া মিসির আলী তো মোটামুটি সাই/ফাই জনরার। যথেষ্ট পরিমান আনন্দদায়ক হয়ে থাকে গল্প গুলো ।
আমার কথা :-
বইটাতে আসলেই দারুন দেখিয়েছেন। লেখকের চিন্তা শক্তি অনেক ভালো দেখিয়েছেন এখানে। সাথে পাঠককেও একটা ধাঁধার ভেতর রাখেন। সামনে কি হবে বা হচ্ছে? গল্পটা ডার্ক ভাবে শেষ করাটাই যেমন বিরক্তি ছিল,অবশ্য সমাপ্তিটাই বইটাকে বিষন্ন করে তুলেছে।মজার ব্যাপার হল,মিসির আলীকে মনে হয় এই বইয়েই বিবাহিত দেখানো হয়।
আমার কাছে ভালোই লেগেছে এবং গাছের যুক্তি গুলোও মনে ধরেছে।
ধন্যবাদ।
0 Comments