কবিতা: মুক্তি

 মুক্তি




আমাদের কাব্যগ্রন্থে মিথলজি নেই,
নেই বেঁচে থাকার আঁকিবুঁকি।
বন্য পশুর মতো হিংস্রতা,
ভালোবাসার মতো ঘৃণিত বস্তু।

আমাদের কাব্যগ্রন্থ কে আমরা বলি,
" বাস্তবতার মহড়া "।
এখানে ঝলসানো রুটি মনে হয় না চাঁদকে,
মৃত্যুকে সুন্দর নয় অভিশাপ নামে ডাকা হয়।

রাজতন্ত্র অথবা রাজনীতিকে,
মানুষের মতো বুদ্ধিমান মনে হয়নি এখানে।
এখানে আমরা বলি,মানুষ একটা জটিল বিষাদ,
রাজনীতি একজন "অন্ধকারের ঈশ্বর"।

দেবীদের পূজায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়,
কখনো দেবীকে প্রেমিকা মনে হয়নি।
আফ্রোদিতি, কখনো ঈশ্বর হয়নি,
কামিয়েছে ঘৃণার মখমলে এক মহাকালের গভীর রাত।

আমাদের এই কাব্যগ্রন্থে কোনো বর্ডার রাখিনি,
রাখিনি কোনো ভাষা অথবা যমদূত।
রাখালের বাঁশি তো নেইই,
কোনো ধর্মেরেও স্থান হয়নি এখানে।

আমরা বিশ্বাস করি?
না,আমরা বিশ্বাস অবিশ্বাস কিছুই করিনা।
অথবা আমরা জানিইনা এই শব্দগুচ্ছকে,
জানলেই তো ধর্মের চাতুর্য শুরু!

আমাকে বিশ্বাস করুন এবং শুনুন,
শুনুন, আমার কলম আর খাতার ঘর্ষণের শব্দ।
তারপর,তারপর যাচাই করুন।
যাচাই করুন, আমি মিথ্যা বলছি নাকি,
এই মানুষের গড়া ঈশ্বরকেই ছেদ করে;
নিয়ে এসেছি আপনাদেরই সমতলে।
আমাকে বিশ্বাস করা ছাড়া,
আপনাদের কোনো রাস্তা খোলা নেই।
যদি বিশ্বাস করেন,
তবেই মুক্তি।
মনে রাখবেন আত্মহত্যা পাপ নয়।
পাপ হল নিজেকে শাস্তি দেওয়া।
অথবা,
ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে ঘরে বন্দী করা।
তারপর,তারপর তাকে বার বার ধর্ষণ করা।
তাই বলি,
আমাকে বিশ্বাস করুন
এবং
ঈশ্বরকে মুক্তি করে দিন।


-রেজাউল করিম (নরকীট)

Post a Comment

0 Comments