লিলু ( পর্ব- ৩ )

 


প্রিয় লিলু,

আমি খুব অসহায় হয়ে পড়েছি।গত কিছুদিন পাহাড়ে হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত প্রায়। তোমার কথা খুব মনে পড়ছে,চুলের গন্ধটা বেশ ভোগাচ্ছে আমায়।তোমার মখমলের মতো ত্বকের গন্ধটাও।এমন করে কেনো নারী হৃদয়ে ভিটা করে বসে? 
মাকে ভালোবাসার পর,জেনে ছিলাম পৃথিবী স্বর্গীয়। তোমায় হারানোর পর জেনে গেছি,ঈশ্বর ভালোবাসা নামের কঠিন এক রোগ ছড়িয়ে দিয়েছেন।
আমরা,হাজার খানেক মৃত্যুর হিসাব রাখি। কখনো কি ভালোবাসার সত্ত্বার মৃত্যুর হিসাব করেছি?কোনো সরকারী পলিসি কি মনে রাখে এই মৃত্যুর সংখ্যা? 

যাই হোক,তোমাকে আজ বড্ড মনে পড়ছে। মেঘলা আকাশ,হাতে সিগারেট সামনে বিশাল এক জলাভূমি। তুমি এমন একটা আবাসস্থল চেয়েছিলে। ছেলে মেয়েরা খোলা মাঠে দৌড়াবে,আমি তোমার চুলে বেণী করে দিবো। সেই বেণী,আমার হৃদয়ের রঙের মতোই সুন্দর হবে!অবশ্য বলা যায় না,বেণী করতে গিয়ে যে তোমার কত চুল অকালে প্রাণ হারাতো! 
আশ্চর্য, আমি বার বার ভুলে যাচ্ছি। আমি আজ স্বপ্নে দেখলাম,তোমার উজ্জ্বল মুখখানা।তুমি হাত বাড়িয়ে দিয়েছো আমার দিকে। পেটের ক্ষুদায়, ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায়,কত প্রাণ ঝড়ে গেছে,কোনো হিসাব রেখেছে কি সিটি কর্পোরেশন? 
তোমার মেয়েটা কেমন আছে?দেখতে অবশ্যই তোমার মতোই?তোমার মেয়েটার বয়স কত হবে?আমার তো মনে হয়,তোমার মেয়ের বয়স ১শত ২৭ বছর হবে!এটা ভাবার কারণ আছে অবশ্য।কারণ আমার ইদানিং মনে হচ্ছে আমি দেবতা হয়ে গেছি। যেহেতু আমার চুল দাড়ি জট পাঁকিয়ে গেছে।তাই আমি বলতে পারিনা যে আমি বহু প্রাচীন নাকি আমি চির তরুন? 
প্রিয় লিলু,আমি জানি,আমি জানি এই কথা তোমার কাছে পৌঁছাবে না।তবুও বলি,আমি তোমায় ঠিক আমার মৃত আত্মার মতোই ভালোবাসি।জেনে খুশি হবে,আমি এখনো বেঁচে আছি।

-নরকীট

Post a Comment

0 Comments